দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, চাহিদা ও মূল্য হ্রাসের কারণে সম্প্রতি চিপ শিল্প খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টর খাত, ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি পণ্য রফতানিনির্ভর দক্ষিণ কোরীয় অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়ছে।
সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে দেশটির পণ্য রফতানি বছরওয়ারি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে দেশটির আমদানি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২৩ কোটি ডলার। দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬২ কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা ১৪ মাস বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দেশটির বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় আরো জানায়, সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের রফতানিতে পতন, মহামারীর অভিঘাত থেকে ধীরগতির পুনরোদ্ধার এবং চীনের বাজারে রফতানি হ্রাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বিক রফতানি কমেছে। গত এপ্রিলে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
উল্লেখ্য বিশ্বের শীর্ষ মেমোরি চিপ নির্মাতার তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ও এসকে হাইনিক্স। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে উভয় কোম্পানিরই আয় কমেছে। এতে বিনিয়োগ ও উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত আয়-ব্যয়ের উপাত্তে স্যামসাং জানায়, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে তাদের পরিচালন মুনাফা ১৪ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। এসকে হাইনিক্স বলছে, প্রথম প্রান্তিকে ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ওন পরিচালন লোকসান হয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই প্রান্তিকে লোকসানে পড়েছে দক্ষিণ কোরীয় মেমোরি চিপ নির্মাতাটি।