গত ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২০২২ সালের আার্থিক ফলাফল ঘোষণায় এ তথ্য জানা যায়।
২০২২ সালে সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ সামষ্টিকভাবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬১২ কোটি টাকায়, যা২০২১ সালে ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে (স্ট্যান্ডঅ্যালোন ভিত্তিতে) ২০২২ সালে ৫৭৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২১ সালের ৫৫৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৯০ শতাংশ বেশি।চ্যালেঞ্জিং বাজার পরস্থিতিতেও ব্র্যাক ব্যাংক অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জনকরেছে। ব্র্যাক ব্যাংক আমানতে ২৪% এবং ঋণ ও অ্যাডভান্সে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পূজিঁবাজার বিশেষজ্ঞবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যা ব্যাংকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরিসম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন এবং ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ২০২২ সালে ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল, উল্লেখযোগ্য অর্জন, অগ্রগামী অবস্থান ও ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কৌশল তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য সাফল্য:
● ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.০২ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ৩.৬৫টাকা।
● শেয়ার প্রতি ব্যাংকের নিট অ্যাসেটস মূল্য (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০.৮৬ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ৩৮.২১ টাকা।
● লোন পোর্টফোলিও লক্ষ্যণীয় ২৮% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যেখানে ব্যাংকিং খাতের গড় ছিল
১৪.২ শতাংশ।
● পূর্ববতী বছরের তুলনায় আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪%, যেখানে ব্যাংকিং খাতের গড় ছিল ৫.৭ শতাংশ।
● সামষ্টিকভাবে রিটার্ন অন ইক্যুইটি হয়েছে ১০.১৬ শতাংশ এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট হয়েছে ১.০২শতাংশ।
● পূর্ববতী বছরের তুলনায় ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে আয় বেড়েছে ২০%। লোনের প্রবৃদ্ধির কারণে অধিক ইন্টারেস্ট আয়, তহবিলের খরচের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, অধিক নন-ফান্ডেড আয়ের কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
● সামষ্টিকভাবে পরিচালনা ব্যয় ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। রেগুলেটর কতৃর্ক এন্ট্রি লেভেল স্টাফদের
ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ, অন্যান্য পরিচালনা ব্যয়ের উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব, প্রবৃদ্ধি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কৌশলের অংশ হিসেবে মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের কারণে এই ব্যয় বৃদ্ধিপেয়েছে।
● ২০২২ সালে খেলাপী ঋণের হার (এনপিএল) দাঁড়িয়েছে ৩.৭২%, যা ২০২১ সালে ছিল ৩.৯০%।
আন্ডাররাইটিং, মনিটরিং ও রিকভারিতে সম্মিলিত পদক্ষেপের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক মধ্য মেয়াদের কৌশলের অংশ হিসেবে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমানত ও ঋণে ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের গড়কে বড় ব্যবধানে ছাড়িয়ে গেছে। এটি ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসইতার প্রমাণ দেয়। গত বছর ব্র্যাক ব্যাংক নানা ডিজিটাল সার্ভিসেস ও কাস্টমার প্রপোজিশন উন্নত করে। আমরা এ গতি ধরে রাখবো এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যবসা দ্বিগুণ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “স্টেকহোল্ডাররা ব্র্যাক ব্যাংক-কে সুশাসন, নিয়মানুবর্তিতা ও মূল্যবোধ ভিত্তিক ব্যাংকিয়ের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে মনে করে। আমরা আমাদের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ ব্যাংককে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য এবং গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থা রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
২০২২ সালে আর্থিক ফলাফলের বিশদ বিবরণ ব্র্যাক ব্যাংক-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
https://www.bracbank.com/en/investor-relations#financialStatements.