মঙ্গলবার (২ মে) সৌদির স্থানীয় সময় রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মক্কা অফিস প্রধান সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। সার্বিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে জেদ্দা কনস্যুলেটের তত্ত্বাবধানে জেদ্দায় প্রত্যাবাসনকারীদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ সেকশনে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের সৌদির বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দেশে ফেরত পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে রাষ্ট্রদূত সৌদি কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিক নিশ্চয়তা দেন।
বৈঠকে মদিনা থেকে বিমানের ফ্লাইট জেদ্দায় অবতরণের জন্য দ্রুতগতিতে ল্যান্ডিং পারমিট ইস্যু করবে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা দেয় এবং প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত অন্যান্য ইমার্জেন্সি যেকোনো বিষয়ে সৌদির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
এসময় মাজেনের সঙ্গে ছিলেন মক্কা অঞ্চলের চিফ অব প্রোটোকল এবং কনসাল কনস্যুলার। বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হোক এবং রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা।
দূতাবাস জানায়, রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী পরে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ সেকশন পরিদর্শন করেন এবং সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের সাময়িকভাবে থাকার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং জেদ্দা মিশনকে দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ বিমানের জেদাস্থ রিজিওনাল ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের সময়মত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিমানে পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেন ও বিমানের শিডিউল নির্ধারণ করে দেন।