বিমানের দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে উদ্বোধনী ফ্লাইটে পুরোপুরি বাণিজ্যিক যাত্রী ছাড়া ভিআইপি বা বিমানের ঊর্ধ্বতন কেউ যাবে কি না এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান। এই রুট চালুর ফলে বাংলাদেশে কর্মরত জাপানী নাগরিক, দুই দেশের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীরা সরাসরি জাপান যেতে পারবেন। বর্তমানে তারা মালয়েশিয়া, চীন বা থাইল্যান্ডের এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ট্রানজিট নিয়ে জাপান যাচ্ছেন।
বিমানের কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুটও চালুর জোর উদ্যোগ নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই ফ্লাইট চালু হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জাপানের নারিতায় বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি করা হচ্ছিল। এরপর রুটটিতে বাণিজ্যিক সফলতা পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালে রুটটি চালুতে তোড়জোড় শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘নারিতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফ্লাইট চালু হবে বলে আশা করছি।’
বিমান সূত্র জানায় ফ্লাইট পরিচালনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও জিএসএ নিয়োগসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নারিতা বিমানবন্দরে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেবে জাপান এয়ারলাইন্স। ওয়েস্টার্ন অ্যাসোসিয়েটস নামে জাপানের একটি কোম্পানি জিএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা থেকে নারিতা রুটের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টার। সপ্তাহে ৩ দিন শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চলবে ফ্লাইট।
বিমানের টরন্টো ফ্লাইটে যেমন ভারত-নেপালসহ আশপাশের দেশের লোকজনের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি নারিতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ফলে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক যাত্রী পাওয়া যাবে বলে আশা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের।
বিমানের টরন্টো, লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের পর নারিতাই সবচেয়ে দীর্ঘ রুট হতে যাচ্ছে। বিমানের বহরে বর্তমানে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ৪টি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের বড় বা ওয়াইড বডি প্লেন। এই ১০টিই নারিতায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে সক্ষম। তবে বিমান কোন এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
অর্থসংবাদ/এসএম