বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে চীনের রিজার্ভ বেড়েছে ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তাতে দেশটির রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার, যদিও রয়টার্সের এক জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্লেষকেরা এতটা আশা করেননি। এর আগে মার্চ মাসে চীনের রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ১৮৪ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ১৮ হাজার কোটি ডলার।
এপ্রিল মাসে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। আবার সেই মাসে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ।
একই সঙ্গে রিজার্ভে সোনা মজুতের পরিমাণ বাড়িয়েছে চীন। এপ্রিল মাস শেষে দেশটির রিজার্ভে সোনার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৬৭ লাখ আউন্স, আগের মাস মার্চে যা ছিল ৬ কোটি ৬৫ লাখ আউন্স।
এতে চীনের সোনা মজুতের আর্থিক মূল্য বেড়েছে। মার্চ মাসে এর পরিমাণ ছিল ১৩১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন বা ১৩ হাজার ১৬৫ কোটি ডলার। তবে এপ্রিল মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন বা ১৩ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার।
এদিকে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনা কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ১ হাজার ১৩৬ টন সোনা মজুত করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৫০ টন বেশি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা মজুতের এই পরিমাণ গত ৫৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ বাজারবিশ্লেষক লুইস স্ট্রিট রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলেন, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের সম্পদ হিসেবে বেশি পরিমাণ সোনা মজুতের ওপর জোর দিচ্ছে। এ কারণে সোনা কেনার পরিমাণও বেড়েছে। গত বছর ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ সোনা কিনেছে, তা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনেও অনেক ওঠানামা হচ্ছে। শিগগিরই এই পরিস্থিতি বদলাবে বলেও কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এমন এক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে সোনার কদর অনেক বেড়েছে।