গতকাল রোববার কলমানি থেকে ৭ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা ধার করে কয়েকটি ব্যাংক। আগের দিন যা ছিল ৬ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। গত রোববার কলমানি থেকে ধার করা হয় ৬ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে কলমানিতে লেনদেন বাড়ছে। গড়ে ৬ শতাংশের সামান্য বেশি সুদে এসব লেনদেন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত ১১টি ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত নির্ধারিত সীমার ওপরে রয়েছে। প্রচলতি ধারার একটি ব্যাংক ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮৭ এবং শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ৯২ টাকা ঋণ দিতে পারে। তবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, এক্সিম, ন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড, এবি, আইএফআইসি, ওয়ান ও ঢাকা ব্যাংক সীমার বেশি ঋণ দিয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে এসব ব্যাংকের ঋণ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির প্রভাবে বাজার থেকে বিপুল পরিমাণের টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উঠে আসায় এমনিতেই অনেক ব্যাংকে সংকট রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের সঞ্চয় সক্ষমতা কমেছে। অনেকে আবার কিছু ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ আমানত প্রবৃদ্ধি হলেও ঋণ বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। আবার সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমায় সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা বাড়ছে। সব মিলিয়ে তারল্যের চাপে থাকা ব্যাংকগুলো নানা উপায়ে ধার করে চলছে।
অর্থসংবাদ/এসএম