সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে কোন দিকে যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলেই আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়৷ মঙ্গলবার এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে৷ আর বুধবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এর পর ১১ মে পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি প্রাথমিকভাবে উত্তর-পশ্চিম দিকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে এগোতে থাকবে। এরপর তা আচমকা উল্টো দিতে বাঁক নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গতিমুখ পরিবর্তন করে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে।
তবে কবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে, তা এখনও বলতে পারেননি ভারতীয় আবহবিদরা।
ধারণা করা হচ্ছে, লঘুচাপটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে ১২ বা ১৩ মে। সেসময় এর প্রভাবে বাংলাদেশে কিছু বৃষ্টি হতে পারে।
একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার আগে চারটি ধাপ পার হতে হয়- লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ। পঞ্চম বা শেষ ধাপে গিয়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এর জন্য বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হতে হয়।
এদিকে ঝড়ের এ পূর্বাভাসের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সোমবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেদ্দা হয়ে ঢাকায় ফিরলেন ১৩৬ সুদান প্রবাসী
রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর ও আরও ১০টি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।