সংবাদ সম্মেলনে বোয়িং বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সক্ষমতাবিষয়ক তাদের কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে। এটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিমানের চাহিদাবিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।
ডেভ শেল্ট বলেন, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ দিগুণ হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে আগামী দশকে প্রতি বছর প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্রমণ বাড়বে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বোয়িংয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি ৫ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পাবে, যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি। পাশাপাশি বিমান ভ্রমণের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে আঞ্চলিক ট্রাফিক বিবেচনায় আগামী ১৯ বছরে বাংলাদেশে বিমান দিগুণ হবে জানানো হচ্ছে।
শেল্ট আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতে বিমান বহরের ৮০ শতাংশ এর বেশি প্রয়োজন হবে। আর বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে পুরোনো অকার্যকর বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য।
‘৭৩৭-এর মতো সিঙ্গেল-আইল বিমানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমানবহরের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবস্থা করবে, যেখানে এই অঞ্চলের বিমানবহরের ১০ শতাংশ গঠিত হবে ৭৮৭এর মতো প্রশস্ত বা ওয়াইডবডি বিমান দ্বারা। এই দুইটি বিমানের মডেলই বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস বাংলায় চালু রয়েছে।’
তিনি বলেন, এই বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িং বিমানগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বিমানবহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইনে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ এবং ব্যয় কমায়।
সিএমওর পূর্বাভাস অনুযায়ী, যাত্রী ভ্রমণ এবং এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে ২৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমানবহরের (৭০০টি) তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হয়।