গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) ডিএমপি সদর দপ্তরে জিআরএসপির সাথে ডিএমপির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
জিআরএসপি ‘ঝুঁকির কারণ হিসেবে গতি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণটির মূল উদ্দেশ্য হলো রোড সেফটির “সেফ সিস্টেম” পার্টনারশীপ মডেলের আলোকে বিদ্যমান এনফোরসমেন্টের প্র্যাকটিসগুলোর উপর আলোকপাত করা হবে।
প্রশিক্ষণটির মূল লক্ষ হলো ট্রাফিক আইনের কার্যকর প্রয়োগের প্রচার। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিমন্ডলে সড়কে পুলিশিং এর কৌশলগুলো প্রমাণিত হয়েছে সেগুলি একত্রিত করে পুলিশ অফিসারদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা।
গতি প্রায় সর্বজনীনভাবে সড়ক দুর্ঘটনার সবচেয়ে একটি বড় কারণ হিসেবে স্বীকৃত।আমাদের রাস্তায় গড় গতি মাত্র পাঁচ শতাংশ কমিয়ে দিলে মারাত্নক দুর্ঘটনা ত্রিশ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। ডিএমপি এক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গতির ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে সেই ডেটার ভিত্তিতে ট্রাফিক পুলিশদের মোতায়েন করা হলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
এস এম মেহেদী হাসান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ), ডিএমপি বলেন, একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে আমরা ঢাকার সকল সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জিআরএসপি প্রশিক্ষণ আমাদের কর্মকর্তাদের গতির সীমা সঠিকভাবে কার্যকর করতে এবং জনসাধারণকে দ্রুত গতির বিপদ সম্পর্কে শিক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমৃদ্ধ করবে। জিআরএসপির সাথে এই সংযোগে আমরা আনন্দিত। একইসাথে রোড সেফটি বিষয়ে একত্রে কাজ করার জন্য তিনি জিআরএসপিকে ডিএমপির সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আহ্বান জানান।
জিআরএসপির রোড সেফটি কনসালটেন্ট আল স্টুয়ার্ট বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে আমাদের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত, যারা সক্রিয়ভাবে তাদের জনগনের নিরাপত্তা বাড়াতে চেষ্টা করছে। আমাদের প্রশিক্ষণ সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে এবং শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে অমূল্য হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের সড়ক নেটওয়ার্ককে সকল সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ করার জন্য কাজ করছে। যা প্রসংশনীয়।
অর্থসংবাদ/এসএম