শনিবার (১২ মে) দুপুর ২ টার পর থেকে উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের মাইকিং করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষে বলা হচ্ছে, কক্সবাজারের পুরো উপকূলে প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
শনিবার দুপুর ও বিকেলের দিকে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনারটেক এলাকায় প্রচারণা চালাতে যান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ মাঠে রয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো নিশ্চিত করবে পুলিশ।এছাড়াও সেন্টমার্টিন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ও মহেশখালীতে পুলিশ লোকজনদের সরিয়ে নিতে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে।
এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্র সৈকতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে এখন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/টিএ