শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।
রাত ৩টার দিকে ভোলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মনপুরা দ্বীপ, চরফ্যাশনসহ আশপাশের এলাকায় হালকা বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে।
মধ্যরাতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, রাত ৩টা থেকে সেন্ট মার্টিনে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ হতে শুরু করেছে। হালকা হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরেও জোয়ার আসা শুরু করেছে।
মধ্যরাতে বৃষ্টি বেড়েছে কক্সবাজার শহরেও। সেখান থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুজন ঘোষ জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রাত পৌনে দুইটার দিকে মাত্রা বাড়তে থাকে। থেমে থেমে এর পরিমাণ বাড়ছিল। মাঝে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৩টায় আবার বেশ বৃষ্টি শুরু হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম