রবিবার (১৪ মে) সুনামগঞ্জের কৃষ্ণনগর হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর কৃষিবিদ বশির আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার উপ সহকারী কৃষি অফিসার বিকাশ কুমার তালুকদার ও উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ আল আমিন হোসেন।
আমির আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসিআই ফার্টিলাইজারের মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ আসাদুর রহমান।
ফসলের অতি প্রয়োজনীয় চারটি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রত্ন সুষম সার সুষমভাবে একাই পূরণ করে। চারটির পরিবর্তে একটি সার ব্যবহার করায় পরিবহন ও জমিতে প্রয়োগ সহজ হয় ফলে পরিবহন ও প্রয়োগ জনিত খরচে সাশ্রয় হয়। এক্ষেত্রে আলাদাভাবে অন্যান্য সার যেমন ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি, এমওপি ও সালফার জমিতে প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না।
অতিরিক্ত অথবা অসম মাত্রায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে রত্ন সার মাটির গুনগত মান ঠিক রাখে। রত্ন সার ব্যবহারে গাছ সুষমভাবে অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমূহ গ্রহন করতে পারায় গাছ সঠিক ও সুস্থ-সবল ভাবে বেড়ে উঠে এবং ফসলের রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর কৃষিবিদ বশির আহমেদ বলেন, এসিআই রত্ন সার গাছের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চারটি পুষ্টি উপাদান দ্বারা সমৃদ্ধ “নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফারের সম্বনয়ে তৈরি হয় সুষম সার”। সঠিকভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সার মাটিতে দ্রুত ও দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করতে পারে।
এসিআই ফার্টিলাইজারের মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ আসাদুর রহমানের কাছে রত্ন সুষম সারের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ ফসলের ক্ষেত্রে জমি তৈরির শেষ চাষে অথবা ফসলের প্রয়োজন অনুযায়ী বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) ৫০ থেকে ৬০ কেজি বা প্রতি শতকে ১.৫থেকে ২ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। ফল ও অন্যান্য গাছের ক্ষেত্রে রোপনের সময় ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম এবং বয়স্ক গাছে ১ থেকে ২ কেজি বছরে ২ বার গাছের চারপাশে বৃত্তাকারে ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
মূলত রত্ন সার ব্যবহার করে ধানের জমিতে প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বিঘাপ্রতি ৪.৫ মন বেশী ধান পেয়েছেন উপজেলার আদর্শ কৃষক মোঃ হেলাল উদ্দিন। মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তা, সার ব্যবসায়ী এবং কৃষকবৃন্দ ‘রত্ন।