উপজেলার হোয়ানকে ইউনিয়নে রোববার রাত ১০ টা ও ১২ টায় লবণ মাঠের পৃথক স্থান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মৃতরা হলেন, মহেশখালী হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) এবং অন্যজন পানিরছড়া বারঘরপাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার (৩০)।
হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমি যতদূর শুনেছি রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগ মুহূর্তে হোয়ানকের পশ্চিমে পলিথিন ও লবণ নিরাপদে রাখার জন্য ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। অতিরিক্ত বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার ফলে তাদের মধ্যে ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, পরে বিকাল সাড়ে ৪টায় রিদওয়ান(৩৫) কে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে যান। এদিকে রাত ১০ টা ও ১২ টায় লবণ মাঠের পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, তিন জনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি।এবিষয়ে বিস্তারিত জেনে বলতে হবে।
বিষয়টি জানতে মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরীকে একাধিক ফোন দেয়া হলেও তিনি রেসপন্স না করাই বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।