আজ সোমবার (১৫ নমে) 'আইএমএফ-এর সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেট কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে' শীর্ষক সিপিডি-নাগরিক সংলাপ প্ল্যাটফর্মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেটি দিয়ে চার থেকে পাঁচ মাস চলবে। বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্যরা এই রিজার্ভকে দুশ্চিন্তা হওয়ার মতো কিছু নয় বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আমাদের মুদ্রাস্ফীতি খুব সামান্য কমেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মজুরি।
সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে আয় বৈষম্য ও ভোগ বৈষম্য বেড়েছে। এ বৈষম্যর ঊর্ধ্বমুখীতা গ্রামের তুলনায় শহরে অনেক বেশি। এমন একটি পরিস্থিতিতে আইএমএফের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে বৈষম্য আরো বাড়বে। আমি মনে করি আইএমএফের ঋণ নেয়ায় বাজেট অনাথ হয়ে গেছে। এমন মনে করার কারণ হলো—এখন পর্যন্ত যতগুলো দেশ আইএমএফের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সব দেশেই বৈষম্য বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাজেটের ২২ শতাংশই ভৌত-অবকাঠামোতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেখানে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রথম আট থেকে নয়টিই অবকাঠামোকেন্দ্রিক প্রকল্প। ফলে খাতওয়ারি বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সুদহার বৃদ্ধি সঠিকভাবে না হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নেতিবাচক ধাক্কা লাগবে।