নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন হবে।
সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ডের (ওয়াইএসকে) প্রধান আহমেত ইয়েনার জানিয়েছেন, ১৫ মে শেষ বিকাল পর্যন্ত দেশে কাস্ট হওয়া সব ভোট এবং প্রায় সব বিদেশি ভোট গণনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে দেখা গেছে যে, কোনো প্রেসিডেন্ট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। আমাদের বোর্ড প্রাসঙ্গিক আইন অনুসারে আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইয়েনার বলেন, নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৪৯.৫ শতাংশ ভোট। অপরদিকে কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। সেখানে সিনান ওগানের পাওয়া ভোট মাত্র ৫.১৭ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে তার এই অল্প সমর্থকগোষ্ঠীকেই প্রয়োজন পড়বে এরদোগান ও কামালের। এই দুই জনের ভোটের ব্যবধান খুব বেশি না। তাই সিনান ওগান তার সমর্থকদের যাকে ভোট দিতে বলবেন, তিনিই হবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, এরদোগান এবং কিলিচদারোগ্লু আগামী ২৮ মে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন পরবর্তী তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
ইয়েনার আরও জানান, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৮.৯২ শতাংশ। আগামী প্রসিডেন্ট নির্বাচনে জন্য মঙ্গলবার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশে বসবাসকারী তুর্কিরা তুরস্কের কূটনৈতিক মিশন এবং সীমান্ত গেটে ভোট দিতে পারবেন। যারা বিদেশে ভোট দিতে চান তারা ২০ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে তাদের ভোট দিতে পারবেন, তবে ভোট কেন্দ্রগুলো ২৮ মে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।