ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর প্রশাসনের পঞ্চম মন্ত্রী হিসাবে জনি জি প্লেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে, ২০২১ সালে উইদোদোর সামাজিককল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ও মৎস্য মন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় (এজিও) বলেছে, হাজার হাজার যোগাযোগ টাওয়ার নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সাথে জড়িত থাকার দায়ে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২০ সালে ইন্দোনেশীয় এই মন্ত্রীর দপ্তর বলেছিল, টাওয়ার নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার গ্রামে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে যাবে।
তবে টাওয়ারের সরঞ্জাম কেনাকাটায় মন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে এজিও কর্মকর্তা কুন্তদি বলেছেন, জনিকে কেনাকাটার জন্য দেওয়া বরাদ্দের ব্যবহারকারী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশটির আরেক কর্মকর্তা কেতুত সুমেদানা বলেছেন, মন্ত্রী জনি জে প্লেট ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতি আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আইন লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মন্ত্রী জনিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মামলার কার্যক্রম আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলবে। মামলার কারণে জনসেবা ব্যাহত হবে না।
অন্যদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কার্যালয় বলেছে, মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তা জলেশ্বরী প্রমোধবর্ধনী বলেছেন, ‘অনেক সময় সরকারি অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের সাবধানে কাজ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট।’
তবে গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রীর আইনজীবীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, দুর্নীতির এই ঘটনায় রাষ্ট্রের ৮ লাখ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপিয়াহ (৫৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।
বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দুর্নীতির বৈশ্বিক ধারণা সূচকে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১০ ছিল। ওই বছর দুর্নীতির ধারণা সূচকে দেশটির স্কোর ৪ পয়েন্ট কমেছে।