জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি খাতকে পেছনে রেখে বিদ্যুৎ খাতকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানির অভাবে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন খাতের (এডিবি) ৬১টি প্রকল্পে বরাদ্দ চায় ৩৭ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। চলমান অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এডিবি খাতে বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ রয়েছে ২৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। গত এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা।
এডিবির সরকারি অর্থায়নের ৫১টি প্রকল্পের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ চেয়েছে ১১ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। এ খাতে চলতি বছরের বরাদ্দ রয়েছে ৯ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এই বিভাগের প্রকল্প সাহায্যের পাঁচ প্রকল্পে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ২২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। চলমান বাজেটে এ জন্য রাখা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতের সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়নের পাঁচ প্রকল্পের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে চার হাজার ১৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এক্সপোর্ট ক্রেডিট ঋণ ৭৭৮ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নের বরাদ্দ রয়েছে দুই হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগ পরিচালন খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য এডিবির ৪১ প্রকল্পে তিন হাজার ৩৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে জ্বালানি বিভাগ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতের জন্য রাখা হয় চার হাজার দুই কোটি টাকা। গত এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। জ্বালানি বিভাগ সরকারি অর্থায়নের ছয় প্রকল্পের জন্য ৫২১ কোটি টাকা চেয়েছে। চলমান বাজেটে এ খাতে রাখা হয়েছে ৬৪৮ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রকল্প সাহায্যের প্রকল্পগুলোর জন্য জ্বালানি বিভাগ চেয়েছে ৩৬৪ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে এ খাতে এক হাজার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পগুলোর জন্য জ্বালানি বিভাগ মোট বরাদ্দ চেয়েছে দুই হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। চলমান অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি খাতের সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পগুলার জন্য রয়েছে দুই হাজার ২১১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য জ্বালানি বিভাগ পরিচালন খাতে ৮.২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম