জানা যায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া অধিকাংশ ট্রলার তীরে ফিরেছে। এছাড়াও কিছু সংখ্যক ট্রলার রাতের আগেই তীরে ফিরবে। পাথরঘাটার সমুদ্রে যাওয়া শত শত মাছ ধরার ট্রলার মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। জেলেরা জাল ও মাছ সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ট্রলার মেরামত ও রঙ করানোর জন্য ডকইয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছেন।
৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে বরগুনার ২৭ হাজার ২৭৭ জন জেলেকে ১ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে নিবন্ধিত প্রতি জেলে পাবেন ৮৬ কেজি করে চাল। এসময় যাতে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে থাকবে জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসন।
বরগুনা উপকূলের জেলেরা জানান, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারের এমন নির্দেশনা মেনে চলবেন তারা। তবে এই দুই মাসেরও বেশি সময় সাগরে না যাওয়ায় আর্থিক অনটনে ভুগতে হবে তাদের। তাছাড়া চালের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া কয়েকশ ট্রলার ইতোমধ্যে তীরে ফিরে নোঙর করেছে। কিছু ট্রলার বাকি আছে, সেগুলোও সন্ধ্যার আগের ফিরবে। বরগুনা উপকূলের দেড় লাখ মানুষ জেলে পেশায় নিয়োজিত। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সরকারি তালিকায় জেলে সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭৪ জন। বাকি এক লাখেরও বেশি জেলে সহায়তা পান না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম থাকায় আজ মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৩ জুলাই। এই সময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। সাগরে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের সমুদ্র সীমায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে কেবল বড় ট্রলারগুলোর জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম