ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার (২৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল প্রধান শেয়ারবাজারে।
ডিএসইর তথ্য বলছে, সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল। এরপরের কার্যদিবস থেকেই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যায় লেনদেন। ২০ নভেম্বর ডিএসইতে লেনদেন নেমে আসে ৫০০ কোটির নিচে। এতে অস্বস্তি শুরু হয় শেয়ারবাজারে। গত বছরের ১২ ও ১৩ই ডিসেম্বর ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও সেটি স্থায়ী হয়নি। ২৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে মাত্র ১৯৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এতে হতাশা বাড়তে থাকে শেয়ারবাজারে।
চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসেও (১ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ১১ জানুয়ারি ফের লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ায়। তবে চলতি বছরের মধ্যে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এই প্রথমবার।
বুধবার ডিএসইতে লেনদেনে স্বস্তি ফিরলেও এক্সচেঞ্জটির সব মূল্য সূচক কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ আজ ০ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমেছে। শরীয়াহ সূচক ডিএসই এস কমেছে ১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। এছাড়াও বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ও এদিন ০ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩৬৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। ৯৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর এদিন কমেছে। বিপরীতে ৭৪ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।