স্বপ্নার অবসাদের কারণ এই ফুটবলই। গত সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর নারী ফুটবলাররা এখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দুই দফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি। অনেকের দেশের বাইরে খেলার প্রস্তাব ছিল। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য সেই প্রস্তাবও সাড়া দিতে পারেননি। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ কবে হবে এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু মিলিয়ে স্বপ্না হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।
এই অবসাদগ্রস্ততা থেকেই স্বপ্না ফুটবল থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্বপ্নার ফুটবল ছাড়ার বিষয়টি অবশ্য জানা নেই কোচিং স্টাফ এবং বাফুফের কারো। জাতীয় দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু দুইজনই স্বপ্নার ক্যাম্প ত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘স্বপ্নার কিছু দিন যাবত খারাপ লাগছিল। বাড়ি যেতে চেয়েছে সে তাই আমরা তাকে ৪-৫ দিন বাড়িতে কাটিয়ে আবার ক্যাম্পে ফিরতে বলেছি’। তবে এই বিষয়ে স্বপ্নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের দুই সদস্য ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অবশ্য বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছিলেন পারফরম্যান্সের জন্য। জাতীয় দলের ক্যাম্পে না থাকতে পারলে তাদের আর ফুটবলে কিছু করার সুযোগ নেই এই ভেবে তারা অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে স্বপ্নার বিষয়টি ভিন্ন। তিনি ক্যাম্পে থেকেও খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমনটি ভাবছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, স্বপ্নার মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেরই একই মনোঃকষ্ট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আট মাসের মধ্যেও একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তারা। আবার কবে খেলবেন সেটিরও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অর্থসংবাদ/এসএম