ছেঁড়া টাকা জোড়া লাগানো, দরকারি কাগজ জুড়ে দেওয়া, উপহারের প্যাকেট মোড়ানো ইত্যাদি টুকিটাকি কাজে বস্তুটি বেশ দরকারি। তাই পড়ার টেবিল, ঘর, কর্মস্থল কিংবা বিপণিবিতান সবখানেই প্রায় অবধারিতভাবেই জিনিসটা থাকে। হ্যাঁ, সেলোটেপের কথাই বলছি, আমাদের কাছে যা স্কচটেপ নামেই অধিক পরিচিত। একটা ছোট্ট পার্থক্য অবশ্য আছে। স্কচটেপ পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, সাধারণ নাম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-এম কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড এটি। ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গুরলে ড্রিউ ১৯৩০-এর দশকে পণ্যটি উদ্ভাবন করেন। নানামুখী ব্যবহারের কারণে উদ্ভাবনের পরপরই এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। বিশেষত সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মহামন্দায় স্কচটেপ দিয়ে জোড়া দেওয়া ছেঁড়া নোট গ্রহণ করা শুরু হয়।
সেলোফেন দিয়ে তৈরি হয় এই টেপ। সেলোফেন একধরনের প্রক্রিয়াজাত সেলুলোজ, যার ফলে এই স্কচটেপ স্বচ্ছ ও আঠালো হয়ে থাকে।
আজ ২৭ মে, সেলোফেন টেপ বা স্কচটেপ দিবস। ১৯৩০ সালের এই দিনে পণ্যটি পেটেন্ট করা হয়েছিল। এ জন্য দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর স্কচটেপ দিবস পালন করা হয়।