চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট এমইউ৯১৯১ সকালে সাংহাই হংকিয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে। দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই ফ্লাইটে যাত্রী ছিল ১২৮ জন।
সি৯১৯ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী চীনের উদ্ভাবিত প্রথম জেটলাইনার। মেধাস্বত্বের মালিকানাও দেশটির। অনেক দিন ধরে এই খাতে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার চেষ্টা করছে চীন। অবশেষে এক দশক পর গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকটি অর্জন করল।
বেইজিং আশা করছে, সি৯১৯ বাণিজ্যিক জেটলাইনার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ও এয়ারবাস এ৩২৯ এর মতো জনপ্রিয় মডেলকে চ্যালেঞ্জ করবে। ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণভাবে প্রস্তুত উড়োজাহাজে দেশের বেশির ভাগ যাত্রী ভ্রমণ করবে, এমন পরিকল্পনা নিয়ে চীন এগোচ্ছে বলে জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি।
চীন জেট তৈরিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তারা উড়োজাহাজের মূল প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়।
সি৯১৯ তৈরি করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চায়না (কম্যাক)। তবে ইঞ্জিনসহ অনেক যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনতে হয়েছে।
আগামীকাল থেকে সি৯১৯ সাংহাই ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুর মধ্যে নিয়মিত রুটে যাতায়াত করবে।
ন্যারো ডিজাইনের এই জেটের প্রথম মডেলে ১৬৪ জন যাত্রীর জন্য আসন রয়েছে।
গত বছর সাংহাইয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চায়না ইস্টার্নের কাছে প্রথম উড়োজাহাজটি হস্তান্তর করে কম্যাক।
গত জানুয়ারিতে কম্যাকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং ইউজিন জানান, তারা এরই মধ্যে ১২০০টি সি৯১৯ মডেলের আকাশযানের অর্ডার নিয়েছেন।
এদিকে এপ্রিলে চীনে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে এয়ারবাস।