অনুষ্ঠানে কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সবার সামনে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ থেকে এনার্জিপ্যাকের প্রতিনিধিরা এই উদ্যাপনে অংশগ্রহণ করেন।
এই অনুষ্ঠানে জ্যাক মটরসের চেয়ারম্যান জিয়াং জিংচু বলেন, ‘আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আমাদের ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন, ভালো কিছু তৈরি করার আগ্রহ এবং তাদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রতি বিবেচনায় নিয়ে থাকি। ভবিষ্যতে সবার জন্য একটি উন্নত জীবন ও বিশ্ব উপহার দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাবো। সবার জন্য অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করার লক্ষ্য আমরা কাজ করে যাবো।’
উদ্ভাবনী মানসিকতার প্রতিফলন হিসেবে চীন-ভিত্তিক অটামোবাইল ও বাণিজ্যিক যানবাহন উৎপাদনকারী জ্যাক মটরস এনার্জিপ্যাকের সাথে অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশে এনার্জিপ্যাক গাজীপুরে অবস্থিত তাদের অত্যাধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জ্যাক ব্র্যান্ডের যানবাহন সংযোজন (অ্যাসেম্বল) করে। এই কারখানায় প্রতি বছর ৩০০ ইউনিট যানবাহন সংযাজন করা যায়। এই কারখানা স্থানীয় প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের বিশ্বমানের প্রযক্তিগত অভিজ্ঞতা লাভ এবং নতুন দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘জ্যাক মটরস নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই কোম্পানি উদ্ভাবনী মানসিকতা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে অটোমোবাইল খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
উন্নত ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করার উদ্দেশ্য নিয়ে চাইনিজ গ্লোবাল অটোমেকার জ্যাক মটরস চীনের আনহুই প্রদেশের হেফেই অঞ্চলে ১৯৬৪ সালের মে মাসে এর যাত্রা শুরু করে। এই ব্র্যান্ডের মূলমন্ত্র একদম সহজ- মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা এবং বিশ্বের ক্রমাগত অগ্রগতি নিশ্চিত করা। প্রায় ৬০ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় জ্যাক মটরস অগনিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
বছরের পর বছর ধরে জ্যাক মটরস ব্যবহারকারীদের বৈচিত্র্যময় ও ব্যক্তিগত প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন অটোমোবাইল সলিউশন এবং যানবাহন উৎপাদন করে আসছে। আগামী দিনেও সাশ্রয়ী ও জ্বালানী-সাশ্রয়ী যানবাহন উৎপাদন অব্যাহত রাখবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো আউটপুটসহ উন্নত কার্যকারিতার যানবাহন উৎপাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে জ্যাক মটরস।
অর্থসংবাদ/এসএম