রেফিনিটিভের প্রাক্কলনের বরাতে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মে মাসে গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল বন্দরে ভিড়েছে, যা এপ্রিলের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে পরিমাণটি ছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল। চীন পৃথিবীর বৃহত্তম জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ। মে মাসে দেশটির আমদানি ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল স্পর্শ করতে যাচ্ছে, যা এপ্রিলের তুলনায় বেশি। এপ্রিলে রফতানি ছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। বিপরীতে মার্চে আমদানি ছিল ১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল, যা পূর্ববর্তী ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চীনের আমদানি বৃদ্ধির পেছনে প্রধান অনুঘটক হলো সেখানকার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধি। চীনে পরিশোধন শিল্প রাশিয়ার তেলের ছাড় মূল্যের কারণে ক্রয় বাড়িয়েছে। জ্বালানি তেলে দেয়া বিশেষ ছাড় পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য রাখা হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়া পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মে মাসে রাশিয়া থেকে চীনের আমদানি প্রতিদিন গড়ে ২০ লাখ ব্যারেল স্পর্শ করছে, যেখানে এপ্রিলে আমদানি ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ রাশিয়া সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে চীনের প্রধান সরবরাহকারীতে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব থেকে মে মাসে আমদানি হয়েছে প্রতিদিন ১৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল, যা এপ্রিলের আমদানির চেয়ে কম। এপ্রিলে আমদানি ছিল ২০ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ভারতের জন্যও বড় অনুঘটকে পরিণত হয়েছে। মে মাসে ভারতের আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে, যা এপ্রিলের চেয়ে বেশি। এপ্রিলে আমদানি ছিল ১৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। মে মাসে ভারতের আমদানি করা মোট অপরিশোধিত তেলের ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ সরবরাহ করেছে রাশিয়া। ভারতের তেল আমদানিও মূলত চীনের মতোই ছাড় মূল্যের কারণে প্রভাবিত। সৌদি আরব থেকে মে মাসে আমদানি ৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল স্পর্শ করছে।