দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশনা।
নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রাহক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। যা প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন সংক্রান্ত ঝুঁকি প্রতিরোধ সংক্রান্ত মূল নীতিমালার অংশ হতে পারে। এক্ষেত্রে বেনামে, ছদ্মনামে বা কেবল সংখ্যাযুক্ত কোনো গ্রাহকের হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলেশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা সত্তা এবং বাংলাদেশ সরকারের তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার হিসাব খোলা যাবে না বা পরিচালনা করা যাবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশনা মানতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা বলা হয়, প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, সর্বোচ্চ নির্বাহী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মানিলন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে এই আইন ও বিধিমালায় বর্ণিত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব এবং কর্তব্যের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিপালন ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বছরে বছরে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে সুস্পষ্ট এবং কার্যকর অঙ্গীকার ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ নির্দেশনা দিতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একজন ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার’ নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট করবে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তার যোগ্যতার বিষয়ও উল্লেখ করা হয় নির্দেশনায়। এক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন প্রধান কর্মকর্তার ন্যূনতম সাত বছরের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া কমপক্ষে তিন বছর ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করতে হবে। আর উপ-প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা (ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান) থাকতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম