মজিরন বেগম কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন। সেখানে তিনিসহ ছয় পরিবারের বসবাস। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা চালানো মজিরনের ঘরে একটি ফ্যান, বাল্ব ও বারান্দায় একটি বাল্ব ব্যবহার করেন। সামান্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার মে মাসের বিলে ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ করে চার হাজার ৬৮। তার বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা। এ নিয়ে সোমবার রাতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে বিল সংশোধনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তাকে দেওয়া সংশোধিত বিদ্যুৎ বিলের কপিতে দেখা গেছে, মে মাসে তার ব্যবহৃত ইউনিট ২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
মজিরন জানান, মঙ্গলবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিস থেকে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তার বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে ১৬২ টাকা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি দুপুরে বিল পরিশোধ করেন। এরপর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তার মিটারটি পরিবর্তন করে দেন। তিনি বলেন, ‘বিলের সমাধান হইছে। আপাতত আর কোনও সমস্যা নাই।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ভুল এন্ট্রি দেওয়ার কারণে সমস্যাটি হয়েছিল। পরে সংশোধন করে দিয়েছি। ওই নারীর বৈদ্যুতিক মিটারটিও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।’
অর্থসংবাদ/এসএম