মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ কনফারেন্স হলে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন, সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশাসহ প্রমুখ নেতারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের হাতে এনআরবিসি ব্যাংকের এটিএম কার্ড তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নামে খোলা ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এটিএম কার্ড প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব ও অহংকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। তাদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে এনআরবিসি ব্যাংকের সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত। এনআরবিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমরা এক বছরব্যাপী এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো।’
শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এ ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই বৃত্তির প্রাপ্তির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন। এধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ডে এনআরবিসি ব্যাংকের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংকের মতো প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।’