মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানির কাছ থেকে বিমানটি লিজ নিয়েছিল পাকিস্তান। পিআইএ'র মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার একটি আদালত বিমানটিকে জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বিমান জব্দ করায় যাত্রীরা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে পড়েন। যাত্রীদের ফেরত আনার জন্য আলাদা একটি বিমান পাঠানো হয়েছে।
আবদুল্লাহ হাফিজ খানের ভাষ্যে, ইতোমধ্যেই বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। বিমানটি ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি আইনি পদক্ষেপ নেবে। গত দুই বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে পিআইএ'র বিমান জব্দ করা হলো।
করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম এআরওয়াই এর তথ্যমতে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেও বকেয়া সংক্রান্ত ইস্যুতে কোম্পানিটির একটি বিমান জব্দ করেছিল মালয়েশিয়া।
ঐ সময় ক্রুসহ বিমানের যাত্রী ছিলেন মোট ১৭৩ জন। পরবর্তীতে কূটনৈতিক আলোচনায় মাধ্যমে কুয়ালালামপুরকে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর পাকিস্তানকে বিমানটি ফেরত দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে লিজিং কোম্পানি হিসেবে এয়ারক্যাপ হোল্ডিংস এনভি (AerCap Holdings NV)-এর নাম জানিয়েছেন হাফিজ খান। তবে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোম্পানিটির মুখপাত্র কোনো সাড়া দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পাইলটদের লাইসেন্স জালিয়াতির অভিযোগে পিআইএ'র ফ্লাইট পরিচালনা নিষিদ্ধ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এরপর থেকেই কোম্পানিটি নিজেদের আর্থিক সমস্যা সমাধানে হিমশিম খাচ্ছে।
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                