হিলিতে গমের ভুসি আমদানি বাড়লেও দাম কম

হিলিতে গমের ভুসি আমদানি বাড়লেও দাম কম
ঈদুল আজহা ও দেশের বাজারে গোখাদ্যের বাড়তি চাহিদাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে গমের ভুসি আমদানি বেড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বোরো ধান ওঠায় বাজারে খড়ের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে গম ও ভুট্টার দাম কমায় চাহিদা কমেছে আমদানীকৃত গমের ভুসির।

কেজিপ্রতি ৮-৯ টাকা করে ভুসির দাম কমিয়ে দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। কিছু ভুসির মান খারাপের কারণে আরো কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা ও পাইকার না পাওয়ায় আমদানি পণ্য বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে বন্দর দিয়ে ৬০২টি ট্রাকে ১৩ হাজার ৬৮০ টন, ফেব্রুয়ারিতে ৮৪১টি ট্রাকে ১৯ হাজার ৬০৭, মার্চে ১ হাজার ৮টি ট্রাকে ২৩ হাজার ৯২৬, এপ্রিলে ১ হাজার ১৬২টি ট্রাকে ২৭ হাজার ২৭০ ও ২৯ মে পর্যন্ত ২২ কর্মদিবসে ১ হাজার ২৬৩টি ট্রাকে ২৯ হাজার ৮৮২ টন গমের ভুসি আমদানি হয়েছে।

আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম খানিকটা কম। বর্তমানে ভালোমানের গমের ভুসি প্রকারভেদে ৩৯-৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে একটু খারাপ ৩৬-৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যেগুলো গোটা ধরে গেছে, সেগুলো ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুসি সরবরাহকারী আইয়ুব আলী বলেন, ‘‌সম্প্রতি বোরো ধান ওঠার কারণে বাজারে খড়ের সরবরাহ যেমন বেড়েছে, তেমনি এর দাম কম রয়েছে। সেসঙ্গে নতুন ধানের গুঁড়া বাজারে এসেছে। ফলে অনেক খামারি বা গরুর মালিকরা সেগুলো কিনে খাওয়াচ্ছেন। এতে দেশের বাজারে ভুট্টা ও গমের দাম কমতির দিকে।’

আরেক সরবরাহকারী সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘‌দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতাদের চাহিদামতো আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে গমের ভুসি ক্রয় করে সেখানে পাঠাতাম। দেখা যাচ্ছে, গড়ে প্রতিদিন পাঁচ-সাত ট্রাক গমের ভুসি সরবরাহ করা হতো। এমন সময় গেছে ক্রেতাদের চাহিদামতো আমরা সরবরাহ করতে পারিনি। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ চিত্র উল্টো।

হিলি স্থলবন্দরের ভুসি আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে ঘিরে গোখাদ্য ভুসির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। চাহিদা কমায় এরই মধ্যে ভুসির দাম কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা করে কমে গেছে। দাম কমার পরেও ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের বেশকিছু পণ্য বন্দরের ভেতরে কিছুদিন ধরে আটকা পড়ে ছিল।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত থেকে গমের ভুসির ব্যাপক আমদানি হচ্ছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়ছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন যে আয় সেটিও বাড়ছে। সেসঙ্গে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় বাড়ায় তারাও বেশ খুশি ছিল। কিন্তু আগের তুলনায় বন্দরের ভেতরে পণ্যটির খালাস প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেমন ভুসির ট্রাক বন্দরে প্রবেশের দু-তিনদিনের মধ্যেই আমদানিকারকরা খালাস করে নিতেন। এখন সেখানে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এতে বন্দরের ভেতরে পণ্যবাহী ট্রাক হল্টেজ থাকার সংখ্যা বাড়ায় পণ্যজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

টানা ৯ দিন বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি দিয়ে ৩৮ দিনে এলো এক লাখ ২০ হাজার টন চাল
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর, গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ
যুক্তরাষ্ট্রে ৭ মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ
তিন বছর পর হিলি দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু
বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি শুরু, দাম কমার আশা
হিলি স্থলবন্দরে দেড় মাসে আয় ১৮ কোটি টাকা
পরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেলো আরও ৫ পোশাক কারখানা
মার্কিন শুল্ক হ্রাসের পর স্থগিত কার্যাদেশ ফিরছে, সুবাতাস পোশাকখাতে
ঢাকায় পর্যটন মেলা ৩০ অক্টোবর