কেরোসিন, লাইট ডিজেল, মোটর স্পিরিট এবং জেট ফুয়েলসহ ১১ ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্যে প্রতি লিটারে নির্দিষ্ট শুল্ক হবে ১৩.৭৫ টাকা।
বর্তমানে ১২ ধরনের জ্বালানির শুল্ক হার ১০%। আসন্ন বাজেটে সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করা হলে তা খুচরা মূল্যে বেশি প্রভাব ফেলবে বলে জানা গেছে অর্থমন্ত্রীর সূত্র থেকে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের উপর বিদ্যমান শুল্ক ৫%। নতুন বাজেট অনুযায়ী এগুলোর প্রতি ব্যারেলের দাম ১১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯,১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সরকার আগামী বাজেটে ১৩টি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির উপর বিদ্যমান ৫% অগ্রিম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে; যার ফলে জনগণ মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে জানা গেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, অগ্রিম কর অপসারণের ফলে অপরিশোধিত তেল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, কেরোসিন এবং বেস অয়েল সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম কমবে।
কিন্তু সুনির্দিষ্ট শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্য হ্রাসের পরও লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই গ্রাহকদের। যেমন, প্রতি লিটার কেরোসিনে ১৩.৭৫ টাকা শুল্ক প্রযোজ্য হবে, তা বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি যাই হোক না কেন।
আইএমএফ এর ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সরকার জ্বালানির মূল্য বাজারে ছেড়ে দিবে এবং ভর্তুকি বন্ধ করবে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে সরকারের ভর্তুকি ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা আসন্ন অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি হতে পারে।
বর্তমানে, ফার্নেস অয়েল, জেট ফুয়েল ডিজেল এবং অকটেনের মতো প্রধান জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে মোট ৩৪% সরকারি শুল্ক ও কর রয়েছে, যার মধ্যে ১০% শুল্ক, ১৫% ভ্যাট, ২% অগ্রিম আয়কর এবং ৫% অগ্রিম কর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অগ্রিম কর অপসারণ করলে জ্বালানি তেলের দামের উপর সামগ্রিক কর ২৯%-এ নেমে আসবে।