বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত এক যুগে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে সাড়ে তিন গুণের বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রতিরক্ষা খাতে ১১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০২১’ প্রণয়ন করে। যার আওতায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন শুরু হয়।
এই লক্ষ্য অর্জন হওয়ার পর ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নামে আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার ও কলেবর বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ-সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান। এ ছাড়া দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার বিষয়টিকেও প্রাধান্য পেয়েছে এই পরিকল্পনায়।
আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশে’ বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার যে নীতি নিয়েছিল, তা অব্যাহত রাখবে।