বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন কয়রা চৌকি আদালতের অ্যাডভোকেট এস এম আবদুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম দোহা জানান, নিম্ন আদালতে আজকে ১লা জুন (বৃহস্পতিবার) তাদের হাজিরার তারিখ ছিল সেখান থেকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আরো অন্যান্য আসামি যারা আছে তাদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা কিন্তু তারপরও তাদের ধরার জন্য কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মহারাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ মাহমুদ তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডকে ক্রমশ চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম শেষে গাড়ি যোগে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় তাদের বহন করা নিয়োগ বোর্ডের গাড়িটি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন গাড়িটি আটকে দেয়।
এ সময় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একটি কক্ষে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে আটক করে মাদ্রাসার প্রধান করণিক আসামি কামরুল তার কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়। উক্ত ঘটনায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে কয়রা থানায় মামলা করেন জবি শিক্ষক।