ইতোমধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। প্রচণ্ড গরমে কষ্টে রয়েছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। এর মধ্যে চলছে লোডশেডিং। গরমে বাড়ছে মানুষের অসুস্থতা।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এই তপ্ত পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও স্বল্প পরিসরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টি হচ্ছে। তাপপ্রবাহ দূর করতে বিস্তৃত পরিসরে বৃষ্টি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। দিনাজপুর, সৈয়দপুর, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪০, শ্রীমঙ্গলে ৮ এবং নিকলিতে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় (১ থেকে ২৫ শতাংশ অঞ্চল) অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
হাফিজুর রহমান আরও জানান, আগামী তিন দিনে সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।