অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ ও উৎপাদনের কাজ করছে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শনিবার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পাওয়ায় ব্রিটেনে তারা ফের ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ‘শেষ ধাপের পরীক্ষা চলাকালীন ৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুরক্ষার কথা ভেবে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল স্থগিত করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশীয়-আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষকে তথ্যগুলো দেয়া হয়। তারা সেসব পর্যালোচনা করে ফের পরীক্ষা শুরুর সবুজ সংকেত দিয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে ব্রিটেনের মেডিসেন হেলথ রেগুলেটরি অথরিটিকে (এমএইচআরএ) জানায় যে, এটা নিরাপদ এবং যুক্তরাজ্যে ফের ট্রায়াল শুরু করা যায়।
মানবদেহে পুশ করে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যাচাই সংক্রান্ত ওই গবেষণায় এক রোগীর দেহে ট্রান্সভার্স মেলাইটিস নামক বিরল মেরুদণ্ডের প্রদাহজনিত রোগ সম্পর্কিত স্নায়ুবিক লক্ষণ দেখা দিলে ট্রায়াল স্থগিত হয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই রোগী সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে এমনটাই স্বাভাবিক। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সব সময় ফল পাওয়ার আশা করা যায় না। বহুদিনের গবেষণা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের কেবল একটি অসম্পূর্ণ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। ১৯৮৭ সালে ভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়াল শুরুর পর এইচআইভির (এইডস) প্রাপ্তির খাতা তো এখনও শূন্য।