সাকিবের না থাকাটা দলের জন্য চিন্তার কারণ বলে মনে করেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। যদিও তার বিশ্বাস, দলের বাকি সদস্যরা সেরা ক্রিকেট খেলতে সামর্থ্যবান। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক বলেছেন, 'সেরা ক্রিকেটার না থাকা, অধিনায়ক আমাদের দলে নেই। অবশ্যই আমাদের জন্য চিন্তার কারণ। বাকি যারা আছে, তারা সামর্থ্যবান সেরা ক্রিকেট খেলার। দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে।'
ঘরের মাঠে ম্যাচ, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানও বড় চিন্তার কারণ নয়। তবু বাড়তি সতর্কতায় বাংলাদেশ, কারণটা নিজেদেরই কন্ডিশন। মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'একটা টেস্ট ম্যাচ আমাদের আফগানিস্তানের সঙ্গে। খুবই চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন, এখন যথেষ্ট গরম। সব কিছু মিলিয়ে সেরা সম্ভাব্য দল আমরা দাঁড় করিয়েছি। আশা করছি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা সেরা ক্রিকেটই খেলব।'
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্টই খেলেছে বাংলাদেশ। চার বছর আগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাজেভাবে হেরে যায় সাকিবের দল। প্রধান নির্বাচক অবশ্য এবার আশাবাদী ভালো ফলের ব্যাপারে। এই চার বছরে ক্রিকেটাররা অনেক পরিণত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা অনেক দিন আগে খেলেছি। আমাদের খেলোয়াড়রা এখন যথেষ্ট পরিণত, যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এই টেস্টে অবশ্যই নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো ফরই আমরা পাবো।'
চোটের কারণে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের, যেতে পারেননি ইংল্যান্ড সফরেও। আফগানদের বিপক্ষে টেস্টের দলে আছেন তিনি। যদিও তার খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। প্রধান নির্বাচক বলেন, 'এটা তো পুরোপুরিভাবে ফিজিও ও ট্রেনারদের উপর নির্ভর করে। এই জন্যই আমরা পাঁচজন পেস বোলার রেখেছি দলে। ওর যদি ফিটনেস যদি শতভাগ না থাকে, তাহলে কঠিন হবে। তারপরেও আমরা আশাবাদী, যেহেতু একটা টেস্ট ম্যাচ, পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলবে ইনশা আল্লাহ।'
নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন দুই তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু ও মুশফিক হাসান। এ দুজন সুযোগ পেলে নিজেদের মলে ধরবেন বলে বিশ্বাস মিনহাজুলের, 'আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ পেলে ওরা নিজেদের মেলে ধরবে। কিছু কিছু জায়গা আছে, কিছু কিছু ব্যাটসম্যানকে দেখতে হয়। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওর (দিপু) যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। এসব টেকনিক্যাল দিক বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। মুশফিক হাসানের ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করার সামর্থ্য আছে। আশা করছি, দুইজনই সুযোগ পেলে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।'