ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র্স ইনডেক্সের তালিকা অনুযায়ী, গৌতম আদানি ১৮তম স্থান এক ধাপ পিছিয়ে ১৯তম স্থানে রয়েছেন। আর ১৮তম স্থানে রয়েছেন শানশান। বিশ্বের সেরা ২০ ধনকুবেরের তালিকায় গৌতম আদানি এই মুহূর্তে ১৯তম স্থানে। ফলে ২০ জনের তালিকার একেবারে শেষের দিকে তিনি। এই তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কে এই চীনা কোটিপতি, যিনি বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক শানশানের পরিচিতি।
কে এই ঝং শানশান
ঝং শানশান ৬২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক। চিনের ঝং শানশান ব্লুমবার্গের তালিকায় বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি। আর এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয়। গত সপ্তাহে তার নামে ১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ যোগ হয়েছে।
জানা যায়, এককালে তিনি ছিলেন দিনমজুর। পরে তিনি বাড়ি বাড়ি সেলসম্যানের কাজ করতেন। এককালে করেছেন সাংবাদিকতাও।
পরে ‘নোংফু স্প্রিং’ নামের মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার হন ঝং শানশান। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পানি বিক্রি করেই তিনি চীনের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন।
শীর্ষ ২০ ধনকুবেরের তালিকায় কতজন এশিয়ার?
ব্লুমবার্গের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মুকেশ আম্বানি ১৩তম স্থানে রয়েছেন। ৮৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে তিনি ধনীদের তালিকায় এশিয়ায় সবচেয়ে আগে। এরপর রয়েছেন ঝং। আর তৃতীয় স্থানে আছেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এশিয়ার এই ৩ ব্যবসায়ী স্থান করে নিয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
এই মুহূর্তে ১৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্ক। এমনই তথ্য দিয়েছে ব্লুমবার্গের তালিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট, তৃতীয় স্থানে জেফ বেজোস ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। আর পঞ্চম স্থানে ল্যারি এলিসন, ষষ্ঠ স্থানে স্টিভ বলমার, সপ্তম স্থানে ওয়ারেন বাফেট, অষ্টম স্থানে ল্যারি পেজ, নবম স্থানে সের্গেই ব্রিন ও দশম স্থানে মার্ক জুকারবার্গ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আরনল্ট ছাড়া সবাই যুক্তরাষ্ট্রের। আরনল্ট ফ্রান্সের বাসিন্দা।