বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (অ্যামচেম) আয়োজিত ‘বাজেট-পরবর্তী প্যানেল আলোচনা’য় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা বাস্তবসম্মত হয়নি। তবে তা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সম্ভব হতে পারে। সরকারকে এখনই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের মজুদ বাড়াতে হবে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) প্রত্যেক জেলায় মজুত বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে, যাতে করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সরকারকে নতুন কর নীতি সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। আমাদের এখন আয়কর প্রশ্নে নতুন আইনের প্রয়োজন এটা সত্য। কিন্তু সেটি যেন জনগণের জন্য বোঝা না হয়ে যায়। আমাদের এখন আন্তর্জাতিক মানের একটি আয়কর আইন প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে যে আইনটি সংসদে আলোচনার জন্য অপেক্ষমাণ সেটি কি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের? আমরা কি এ ক্ষেত্রে শুধু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ওপরই নির্ভর করব? আমার মনে হয় এর সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে আমি সরকারকে বলব, তাড়াহুড়ো না করতে। সময় নিন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করুন, আন্তর্জাতিক মানের দিকেও খেয়াল করুন। এটি নিয়ে আরো ভাবুন। তারপর সংসদে আলোচনার জন্য নিয়ে আসুন।’
অর্থসংবাদ/এসএম