এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোর্ড এস্কেপ, লিঙ্কন কর্সেয়ার ও ফোর্ড ম্যাভেরিক ট্রাকসহ এক লাখ যানবাহন প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারের কারণ ছিল ইঞ্জিন থেকে আগুন বা ধোঁয়া বের হওয়া। এ ধরনের প্রায় ২৩টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর গাড়িগুলো প্রত্যাহার করা হয়। এটি ঘটেছিল ব্লক বা তেল প্যানের ত্রুটির কারণে।
ব্লক বা তেল প্যান ত্রুটির কারণে ফুটো হয়ে তেল নির্গত হতে পারে। তাছাড়া ইঞ্জিন অত্যধিক গরম হয়ে আগুন ধরে যাওয়া বা ধোঁয়া নির্গত করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এটি যাত্রীসহ অন্যদের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।
তবে ফোর্ড নিশ্চিত করেছে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রত্যাহারসংক্রান্ত মেরামতের পরও কমপক্ষে তিনটি ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনাও রয়েছে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) অনুসারে, ফোর্ড বলেছে যে এ গাড়িগুলো তারা পুনরায় মেরামত করছে। যার মধ্যে প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইঞ্জিনসহ ২০২০ থেকে ২০২৩ মডেল বছরের মধ্যে এস্কেপ, লিঙ্কন কর্সেয়ার এসইউভি এবং ফোর্ড ম্যাভেরিক কমপ্যাক্ট পিকআপ ট্রাক অন্তর্ভুক্ত।
ফোর্ডের মতে, ত্রুটিগত কারণে ইঞ্জিন অকালে ব্যর্থ হতে পারে, পরবর্তী সময়ে তা থেকে তেল বা জ্বালানি বাষ্প নির্গত করতে পারে, যা আগুন ও আঘাতের ঝুঁকিগুলোকে বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে ফোর্ড ও এনএইচটিএসএর পক্ষ থেকে গাড়ির মালিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, ইঞ্জিনের অপ্রত্যাশিত শব্দ শুনতে পেলে, গাড়ির গতি হ্রাস পেলে বা ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া নির্গত হতে দেখলে গাড়ি থামিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে হবে। গত সপ্তাহে ফোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগুনের ঝুঁকির কারণে ১ লাখ ৪২ হাজার লিঙ্কন এমকেসি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম