বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন কোম্পানি ল’রিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্র্যাঙ্কোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। ৭০ বছর বয়সী এই নিভৃতচারী নারীর মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে একশত বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচকে ইতিমধ্যে বিশ্বের ধনীতম নারী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ফ্র্যাঙ্কোয়া।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তাঁর মোট সম্পদ ১০ হাজার ২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কোনো নারী এই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটল।
বিশ্বের ধনীতম নারীর পাশাপাশি ফ্র্যাঙ্কোয়া রয়েছেন পৃথিবীর শীর্ষ ২০ ধনী ব্যক্তিদের তালিকাতেও। এই তালিকায় তাঁর অবস্থান ১২ তম। চলতি বছর কোম্পানিটির স্টকের দাম ১৯৯৮ সালের পর সবচেয়ে চাঙ্গা থাকায় এই মাইলফলক অর্জন করলেন ফ্র্যাঙ্কোয়া।
ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি ল’রিয়েল বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি। ল’রিয়েলের প্রস্তুতকৃত সুগন্ধী, শ্যাম্পু, বডিলোশন, চুলের কলপ, সানস্ক্রিন ও অন্যান্য প্রসাধন সরঞ্জাম বিশ্বের বহু দেশের বাজারে সহজলভ্য। ১৯০৯ সালে ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্সের দাদা ইউজিন শুলার এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
২৬৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার ফ্র্যাঙ্কোইস এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কোম্পানির ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তাঁরা।
কোম্পানির শেয়ারের পাশপাশি কয়েকটি বিলাসবহুল বাসভবন বা প্রাসাদও রয়েছে ফ্র্যাঙ্কোয়েসের। সেগুলো তিনি তার মা লিলিয়ান বেটেনকোর্টের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। ২০১৭ সালে মারা যান লিলিয়ান বেটেনকোর্ট। তাঁর জীবদ্দশায় অবশ্য সম্পত্তি নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই নারী ব্যক্তিগত জীবনে বেশ নিভৃতচারী। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকেন তিনি। বই পড়ে এবং পিয়ানো বাজিয়ে দিন কাটে তাঁর। স্টাডি অব বাইবেল এবং জেনেলজি অব গ্রিক গডস নামে দু’টি বইও লিখেছেন তিনি। স্টাডি অব বাইবেল বইটি ৫ ভলিউমের।
ব্লুমবার্গের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তালিকায় ফ্র্যাঙ্কোইসের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বহুজাতিক চেইন সুপারশপ ওয়ালমার্টের উত্তরাধীকারী অ্যালিস ওয়ালটন। মার্কিন এই নারীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার কোটি ডলার।