গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- মো. সুমন পারভেজ (৪০), মো. মজিদ (৪২), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৮টায় মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় বলে ডিএমপি নিউজ সূত্রে জানা গেছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিএমপি নিউজ জানায়, ব্যাংকের লোন নিয়ে কেউ ঋণ খেলাপি হলে তাদের সিআইবি খারাপ হয় ফলে পুনরায় তারা ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেফতারকৃত সুমন ও মজিদ লোন পাশ করে দেবে আশা দিয়ে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করতেন। পরবর্তী সময়ে লোন পাশ হলে লোনের টাকার ১০ শতাংশ হারে তাদের দিতে হবে বলে চুক্তি করা হতো। চুক্তিতে একমত হলে তারা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। পরে লোন পাশ হলে চুক্তি অনুযায়ী লোনের সম্পূর্ন টাকার ১০ শতাংশ হারে নিয়ে নিতেন।
জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের অপর সহযোগী সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন।
ডিএমপি নিউজ আরও জানায়, সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার কারণে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে পারতেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডের থানায় মামলা করা হয়েছে।