সোমবার (১২জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসের সভাকক্ষে ছাত্রশৃংঙ্খলার সভায় স্বশরীরে পাঁচ অভিযুক্তরা মৌখিক শুনানি দেয়। এসময় ভুক্তভোগী ফুলপরীকেও তার অভিযোগের বাইরে কিছু থাকলে তা বলার জন্য ডাকা হয়। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, আইনপ্রশাসক, ছাত্র-উপদেষ্টাসহ শৃংঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ৩০মে পাঁচ অভিযুক্তের দেয়া কারণ দর্শানোর জবাব পর্যলোচনা করে এর বাইরে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর কিছু বলার থাকলে তা আজকের সভায় সমর্থন করতে বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ আজাদ বলেন, এর আগে তারা শোকজের জবাব দিয়েছিল। গত মিটিং এ সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমাদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য চুড়ান্ত প্রক্রিয়ায় যেটা করতে হয় একটা মৌখিক শুনানি তারা যা জবাব দিয়েছিল এর বাহিরে নতুন কোন বক্তব্য আছে কিনা সেজন্য ডাকা হয়েছিল। তারা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মৌখিক শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্য আমলে নিয়েছে।
এবিষয়ে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য তারা আজকে বক্তব্য দিয়েছে। এর আগে লিখিত দিয়েছিলো আজকে মৌখিক ভাবেও নেয়া হয়েছে। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দী সবকিছু পর্যলোচনা করে তারপরই চূড়ান্ত হবে।
এবিষয়ে ফুলপরী বলেন, আমি গিয়েছিলাম। আমাকে তেমন কিছু জিজ্ঞেস করেনি। যে আবেদনগুলো প্রথমে দিয়েছিলাম সেগুলোতে কোন কিছু বাদ পরেছে কিনা জানতে চাইলে আমি প্রতিউত্তরে জানাই ঐগুলোই শুধু।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, শুনানির সময় আমি কিছু অসঙ্গতি তোলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ আমাকে বলেন, আপনার আত্মপক্ষ সমর্থনের বিশেষ কিছু থাকলে বলেন নাহলে যেতে পারেন।