শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে চায় টিউলিপ ডেইরি

শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে চায় টিউলিপ ডেইরি
শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টিং) হওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড। কোম্পানিটিকে প্রস্থান পরিকল্পনাসহ (এক্সিট প্ল্যান) নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সম্প্রতি টিউলিপ ডেইরির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, একাধিকবার চেষ্টা করেও কোম্পানিটিকে লাভজনক অবস্থানে আনতে না পারায় টিউলিপ ডেইরির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এক্সিট প্ল্যান চেয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জকেও অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, টিউলিপ ডেইরিকে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে কমিশনের জারি করা নির্দেশনা অনুসারে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়া, আবেদনকারীকে নীতিগতভাবে কমিশনের সম্মতির জন্য কমিশনের কাছে একটি প্রস্থান পরিকল্পনার সঙ্গে অ্যানেক্সার-১ এ উল্লিখিত নিয়মে একটি আবেদন জমা দিতে বলা হলো। সেই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, কোন কোম্পানি তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টিং) হতে চাইলে স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হবে। এক্সচেঞ্জ থেকে কমিশনের মতামত চাইলে সেটি বিএসইসির কাছে আসবে। এক্সিট হতে চাইলে কমিশনের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, সেটি মেনেই এক্সিট হতে পারবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ১০০ টাকা ফেসভ্যালু হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০.৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরে হাতে ৪৯.১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকায়।

এর আগে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেট বাতিল করে বিএসইসি। ওই সময় ওটিসির ৪১টি কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ২৯টি কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মাধ্যমে ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত