ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুজরাটের উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অরেঞ্জ এবং ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ক্যাটাগরিত-৩ এর ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’-এর প্রভাবে উপকূলে ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে বাতাস বইতে পারে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাটের কুচ, দেবভূমি দরগা এবং জামনগরে অতিবৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এটি তাদের কেটি বন্দরে আঘাত হানতে পারে।
গতকাল ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছেন তারা। তিনি আরও জানান, ঝড়টি সরাসরি করাচিতে আঘাত হানবে না। কিন্তু এটির প্রভাব কেমন হবে সেটি আজ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব ধরনের ছোট বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আজ থেকে বেসামরিক বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম