এক অর্থ বছরে পল্লী বিদ্যুতের ক্ষতি ৫২৪ কোটি

এক অর্থ বছরে পল্লী বিদ্যুতের ক্ষতি ৫২৪ কোটি
গত অর্থ বছরে পল্লী বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে ৫২৪ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদে মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। বিগত অর্থ বছরে (২০২১-২২) পল্লী বিদ্যুতের নিট ক্ষতি ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ সময়ে আয় রয়েছে ২৯ হাজার ১০৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

সরকারি দলের বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি/সংস্থা এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪৫টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে, এ সংখ্যা মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৫১ লাখের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আরো ২৭ লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩১ লাখ ৩০ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট মিটারগুলোর পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড/স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তর করা হবে।

হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এক হাজার ১৭৮ দশমিক ৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে সৌরশক্তি হতে ৯৪৪ দশমিক ৮৮ মেগাওয়াট।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ইলিশায় মজুদসহ বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুদ ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে। দৈনিক গড়ে ২২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এ গ্যাসে ১০ বছর চলবে।

রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে এলএনজির ধারণ ক্ষমতা প্রতিটিতে এক লাখ ৩৮ হাজার করে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার এবং প্রতিটির রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে মোট ১০০০ ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কাতার ও ওমানের সাথে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বছরে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আমদানী করা হচ্ছে। এছাড়া স্পট মার্কেট থেকে চাহিদা অনুযায়ী এলএনজি আমদানী করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৩০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর আনুমানিক পরিমান এক দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে স্পট মার্কেট হতে ২১ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার আনুমানিক পরিমাণ এক দশমিক ৩১ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু