গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী পাঁচ মাস সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। অনেকের চাকরির বয়স এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন। আগস্ট পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা।’
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।
মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমঅবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। পরে এ ব্যবস্থা তিন দফায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এখন সেই বিধি-নিষেধ আর নেই।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘যদি করোনার ছুটির সময় কোনো পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকে, কোনো বিজ্ঞপ্তি জারির কথা থাকে, এ জন্য যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য যদি আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে- তবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, পরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়স শিথিলের বিষয়টি বিবেচনায় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে অনুমতি মেলায় বয়সের ছাড় দেয়ার এ পদক্ষেপ নেয়া হলো।