এডিবির পূর্বাভাসে সন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে আমাদের রেমিট্যান্সের অবস্থা অত্যন্ত ভালো। গত দুই মাসে রফতানি বাণিজ্য পুনরায় আশানুরূপ অবস্থানে আসতে শুরু করেছে। তাই সবকিছু মিলিয়ে আশা করা যায়, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১ বা ৮.২ শতাংশ অর্জিত হবে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবির এ প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এ অঞ্চলে চীন ও ভারতের পরেই অবস্থান করছে। যেখানে কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের কারো অবস্থান বাংলাদেশের উপরে নয়। এর আগে করোনার নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও যে প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন এডিবি করেছিল, সেখানে অন্যান্য দেশের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ধনাত্মক এবং এশিয়ার মধ্যে সবার উপরে। আশা করা যায়, এ অর্থবছরেও এশিয়ার মধ্যে আমাদের অবস্থান সবার উপরে থাকবে।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের ঘরে থাকবে। সুচিন্তিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের উদ্দীপনা ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রধান ঝুঁকি হলো, দীর্ঘমেয়াদি মহামারি ও বাংলাদেশের রফতানির গন্তব্য।
এডিবি আরও বলছে, ২০২০ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে ২০২১ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২১ সালে অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।