তারা বলছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সরকার মোটেই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সমস্যা এবং প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব আশঙ্কা জানানো হয়।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাত ভর্তুকিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ভর্তুকির রেট গত বছরের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। জিডিপি হিসাবেও অনেক বড়। ভবিষ্যতে এমন ভর্তুকির বিষয়টি কীভাবে হ্যান্ডেল করা হবে? এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।’
আরো বলেন, ‘একদিকে লোকসান, অন্যদিকে ফিক্সড অ্যাসেটে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেওয়ার পাশাপাশি লোকসানের অজুহাতে জনগণের কাছ থেকে ট্যারিফ মূল্য বাড়িয়ে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আমার কাছে এ হিসাবটা গোলমেলে মনে হচ্ছে।’
‘বিপিসি, বিপিডিপি ও পেট্রোবাংলাসহ এনার্জি সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয় গবেষণাপত্রে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এখানে স্বচ্ছতার প্রয়োজন। সর্বশেষ জ্বালানির মূল্য বাড়ানোর ফলে বিপিসি বিপুল পরিমাণ লাভ করে যাচ্ছে। বাজারভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থায় যদি সরকার যায়, তাহলে ভোক্তার ওপর বোঝা বাড়তেই থাকবে। ক্যাপাসিটি কস্ট যদি বাদ বা কমানো যায় এবং স্বচ্ছতা বাড়ানো যায়, তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য কমানো সম্ভব।’