আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোম্পানিটির গ্রাহক মো. সবুজ হাওলাদার কমিশনে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের এসআরআই বিভাগ তদন্ত করে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে সিকিউরিজি আইন ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে।
(ক) কোম্পানি তার গ্রাহকের এবং তাদের সরবরাহকৃত তথ্য ও নথিপত্র উপযুক্তভাবে শনাক্ত ও যাচাই না করেই ২৪৬টি হিসাব খুলে বিধি ২৬(১) অব ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ ও রুল ৭.৩.৩ অব সিডিবিএল বাই ল’স ভঙ্গ করেছে।
(খ) কোম্পানি একটি অমনিবাস হিসাবের বিপরীতে স্বতন্ত্র বিও হিসাব না খুলে এবং একটি বিও হিসাব নং ১০৬৫৭৬০০৬১২১৫১৩৯ এর বিপরীতে ৩০৭টি হিসাব পরিচালিত করে বিএসইসি ডাইরেক্টিভ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১৪২ তারিখ; ডিসেম্বর, ৩০ ২০১২ ভঙ্গ করেছে।
(গ) কোম্পানি তার গ্রাহকের এবং তাদের সরবরাহকৃত তথ্য নথিপত্র উপযুক্তভাবে শনাক্ত ও যাচাই না করে ৩০৫টি হিসাব খুলে বিধি ২৬(১) অব ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ ও রুল ৭.৩.৩ অব সিডিবিএল বাই ল’স ভঙ্গ করেছে।
(ঘ) কোম্পানি একটি অমনিবাস হিসাব/বিও হিসাব ব্যবহার করে ২টি হিসাবের বেশি হিসাব হতে আইপিওতে আবেদনের মাধ্যমে কন্ডিশন ৯ অব দ্যা কনসেন্ট লেটার অব আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেড (এসিএফএল) অ্যান্ড বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (বিপিএমএল) হুইচ ইমপোসড আন্ডার ২সিসি অব দ্যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ ভঙ্গ করেছে।
উল্লেখ্য, এসআরআই বিভাগের পরিদর্শন প্রতিবেদনে মো. সবুজ হাওলাদার কর্তৃক কোম্পানির কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার সহযোগে বেআইনিভাবে হিসাব খোলার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড কর্তৃক হিসাবসমূহ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানি মো. সবুজ হাওলাদারের নামে জিডি ও মামলা করেছে যা এখনো বিচারাধীন আছে।
সিকিউরিটি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য কমিশন আজকের সভায় এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই জরিমানার অর্থ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে আদায় না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে সনদ বাতিল ও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।