সূত্র মতে, বিএসইসির সহকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, কোম্পানিটি বন্ধ থাকার পরও এটির মূল্য বৃদ্ধি কারনে বিএসইসির সন্দেহ হয়। ১০টি বিও হিসাবের মাধ্যমে কোম্পানিটির প্রায় ৪০ শতাংশ শেয়ার কিনে কারসাজি করে ৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় মূল্য বাড়িয়েছে। এজন্য সন্দেহভাজন ১০টি বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে। যাতে তারা উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করতে না পারে। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট বিএসইসিতে জমা দিবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ৬৬ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পর জিকিউ বলপেনের শেয়ার দীর্ঘদিন ৬৬ টাকা ৩০ পয়সা দরে ফ্লোরপ্রাইসে লেনদেন হতো। এর আগে এ বছর শেয়ারটির সর্বনিম্ন মূল্য নেমেছিল ৫২ টাকা ৭০ পয়সা আর সর্বোচ্চ মূল্য উঠে ২৫৩ টাকা ৮০ পয়সা।
ডিএসই সূত্র মতে, গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তিন মাসে দর বেড়েছে ১৭৪ টাকা ২০ পয়সা বা ২৬৩ দশমিক ৫৪ টাকা। আজকের ক্লোজ প্রাইজ ২৪০ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ৯১টি। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, শূণ্য দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৬ দশিমক ৬০ শতাংশ শেয়ার।