বগুড়ায় নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে এলাকাবাসী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার এরুলিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন হিরো আলম। পরে মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এ সময় বাবা আবদুর রাজ্জাক ও ছেলে আবির আলম তার সঙ্গে ছিলেন।
হিরো আলম বলেন, সারা দেশে তার অগণিত ভক্ত আছে। ভক্তদের জন্য, বিশেষ করে গরিব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পরও তাকে মেনে নিতে না পেরে ফলাফল ঘোষণার সময় তাকে ‘নয়ছয়’ করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নয়ছয়ের ভোটের প্রতিবাদ করতেই তিনি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো কোনোরকম হুমকি-ধমকি পাইনি। পরিবেশ অনেক ভালো ও শান্ত আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ওরফে নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন হিরো আলম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি।